Salwa Judum Case: আদিবাসী অধিকার ও বিচারব্যবস্থায় এক ঐতিহাসিক রায়
Salwa Judum ছিলো ২০০৫ সালে চত্থিসগড়ের আদিবাসী এলাকা থেকে মাওবাদী (নক্সল) বিদ্রোহ মোকাবিলার জন্য গড়ে ওঠা একটি বিতর্কিত সশস্ত্র দল। এই দলটি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হলেও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উপর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যায় নিপীড়নের অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
Salwa Judum-এর পটভূমি ও উদ্দেশ্য
২০০৫ সালে চত্থিসগড়ের বিভিন্ন উপজেলায় বিশেষত বস্তর, দান্তেওড়া ও কুড়ম অঞ্চলে আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নামে সরকার স্বীকৃতভাবে স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হিসেবে Salwa Judum গড়ে তোলে। তাদের প্রধান কাজ ছিল নক্সল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখা।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ
Salwa Judum-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠে, যেমন - জোরপূর্বক আদিবাসী গ্রাম থেকে স্থানচ্যুতকরণ, নারীদের বিরুদ্ধে অনৈতিক আচরণ, গ্রাম দখল ও ধ্বংস এবং সাধারণ মানুষের ওপর সশস্ত্র বাহিনীর অত্যাচার।
আইনগত লড়াই ও সুপ্রিম কোর্টের রায় (Nandini Sundar vs State of Chhattisgarh, 2011)
২০১১ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট Salwa Judum কে অবৈধ ঘোষণা করে এবং নির্দেশ দেয় যে, সরকার যেন আদিবাসীদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সঠিক পদক্ষেপ নেয়। আদালত বলেছে, Salwa Judum একটি অ-সরকারি বাহিনী নয়, বরং সরকার দ্বারা অনুমোদিত একটি সশস্ত্র বাহিনী, যা সাংবিধানিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
Salwa Judum-এর প্রভাব ও বর্তমান পরিস্থিতি
Salwa Judum-এর কার্যক্রমের ফলে হাজার হাজার আদিবাসী স্থানচ্যুত হয়, তাদের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয় এবং দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষতির সৃষ্টি হয়। বাতিলের পরেও চত্থিসগড়ের আদিবাসী এলাকা এখনো নক্সল সমস্যার সম্মুখীন। তবে সরকার নতুন নীতিমালা ও মানবিক পন্থা গ্রহণের চেষ্টা করছে।
শিক্ষা ও সচেতনতায় গুরুত্ব
এই রায় আদিবাসীদের অধিকার ও নিরাপত্তার প্রতি সমাজ ও সরকারের দায়িত্বকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা ও সচেতনতার জন্য নতুন অধ্যায় খুলে দিয়েছে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার পাশাপাশি তাদের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য সচেতনতা অপরিহার্য।
0 Comments