Vedanta মামলা ২০০৮ – আদিবাসী অধিকার রক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ রায়
মামলার প্রেক্ষাপট
ভারতের ওড়িশার নিয়ামগিরি পাহাড়ে Vedanta Resources plc একটি তামা ও খনিজ খনির পরিকল্পনা করেছিল। এই পাহাড়টি সাঁওতাল, কন্ড, ও মুডি আদিবাসীর পবিত্র ভূমি, যা তাদের সংস্কৃতি, চাষাবাদ ও জীবনযাত্রার সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পর্কিত।
বিতর্কের কারণ
- মাইনিং প্রকল্প আদিবাসী ঐতিহ্য ও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে উদ্বেগ ছিল।
- পরিবেশ মন্ত্রক প্রথমে অনুমোদন দেয়, তবে পরে আদিবাসীর Free, Prior and Informed Consent (FPIC) সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা মেনে ওঠে।
- এটির ফলে আদিবাসীদের স্বীকৃতি ও সম্মতির ভিত্তিতে প্রকল্প পুনর্বিবেচনার দাবি উঠে।
সুপ্রিম কোর্টের রায় (২০০৮)
- মাইনিংয়ের আগে আদিবাসীদের পূর্ণ সম্মতি (FPIC) বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়।
- নিয়ামগিরি এলাকার গ্রামসভা তার স্বতন্ত্র মত প্রকাশ করতে পারবে।
- আদিবাসী ঐতিহ্য ও প্রকৃতি রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
- পরিবেশ মন্ত্রককে আদিবাসীর মতামতের ভিত্তিতে প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করতে বলা হয়।
আদিবাসী গ্রামের গণভোটে প্রকল্প প্রত্যাখ্যান হলে, ২০১৩ সালে পরিবেশ মন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প বাতিল করে।
ফলাফল ও প্রভাব
- FPIC আদর্শ আইনি ভিত্তিতে শক্তি পেয়েছিল।
- আদিবাসীদের জায়গা ও সংস্কৃতির পরিপূর্ণ সম্মান নিশ্চিত হলো।
- ভারতে আদিবাসী অধিকার এবং পরিবেশ আইন রক্ষায় এক নতুন নীতি তৈরি হলো।
উপসংহার
Vedanta মামলা শুধু খনি অনুমোদনের ঘটনা ছিল না; এটি আদিবাসীদের স্বতন্ত্র অধিকার ও সুরক্ষার এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। এটি আমাদের শেখায়—পরিবেশ উন্নয়ন নয়, মানব ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্মানপূর্ণ সমন্বয় করেই প্রকৃত উন্নয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়।
0 Comments