Purulia Santali Medium Protest: মাতৃভাষা বাঁচাতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা
পুরুলিয়ার শিক্ষাঙ্গনে ফের উত্তাল পরিস্থিতি। Santali Medium Education বাঁচাতে বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত জেলাশাসকের অফিসের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক এবং অভিভাবক। দিনের পর দিন Mother Tongue Rights উপেক্ষিত হওয়ার অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসছিল সাঁওতাল সমাজ।
অভিযোগ, জেলার বেশ কয়েকটি সাঁওতালি মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষক সংকট, বইয়ের অভাব, স্থায়ী কর্মী না থাকা এবং প্রশাসনের নিরব মনোভাবের ফলে বছর দুয়েক ধরে পঠন-পাঠন কার্যত ভেঙে পড়েছে। সমস্যা সমাধানে নাকি কেউ এগিয়ে আসছে না।
➡️ Education system collapsing silently.
দুপুরের পর থেকেই একে একে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ব্যানার হাতে জেলাশাসকের অফিসের সামনে জড়ো হতে শুরু করে। তাদের সঙ্গে ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা এবং অভিভাবকরাও। প্রত্যেকের একটাই দাবি— সাঁওতালি ভাষায় পড়াশোনা চালু রাখতে অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ, পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ ও প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান চলতে থাকায় বিকেল নাগাদ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। ঘটনার পরও দাবি ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় ক্ষোভ আরও বেড়ে যায় উপস্থিত জনতার মধ্যে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন ভাষাভাষী শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকার গুরুত্ব দিলেও সাঁওতালি মাধ্যম যেন চিরকালই উপেক্ষার শিকার। অথচ Constitution of India অনুযায়ী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা সংরক্ষণ একটি সাংবিধানিক অধিকার।
এদিন সন্ধ্যার পর উত্তেজনা আরও বাড়ে যখন জেলাশাসকের দপ্তর থেকে কোনও প্রতিনিধি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেননি। ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্য, “আমরা অপরাধী নই। We just want education. সেটা কি এত বড় দাবি?”
স্থানীয় সাঁওতাল সমাজের প্রবীণদের মতে, এ কোনও সাধারণ প্রতিবাদ নয়—এটা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। মাতৃভাষা মরে গেলে গোটা জাতির পরিচয় ভেঙে পড়বে। প্রশাসনের নীরবতা তাই বিপজ্জনক।
পুরুলিয়ার এই আন্দোলন এখন সাঁওতাল সমাজ ছাড়িয়ে রাজ্য জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। Social media-তে ব্যাপক সমর্থন দেখা যাচ্ছে। অনেকেই লিখছেন— “মাতৃভাষা বাঁচলে পরিচয় বাঁচবে।”


0 Comments